কিভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে আলু চাষ করে লাভবান হবেন বিস্তারিত জানুন
বাংলাদেশের মধ্যে যত ফসল আছে তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল হচ্ছে আলু ধান ও গম এর পরেই তৃতীয় সারিতে আছে আলু। জমিতে আলু ফলন ভালো হওয়ায় আলু চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা আলোচনা করব যে কিভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে আলু চাষ করবেন। আপনি যদি এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েন তাইলে পারে কিভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে আলু চাষ করে লাভবান হবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন।
আলু একটি শীতকালীন ফসল। আলু সাধারণত নভেম্বর মাসের প্রথম দিক থেকে লাগানো শুরু হয় এবং ৯০ দিনের মাথায় গাছ তুলে নেওয়া হয়। আলুতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা জাতীয় উপাদান থাকায় এটি শর্করা খাবারের অন্যতম উৎস। আলু আমাদেরকে শর্করা জাতীয় উপাদানের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ আধুনিক পদ্ধতিতে আলু চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আলুর জাত নির্বাচন
বাংলাদেশে ফসল গবেষণা কেন্দ্র বি এ আর আই এর অধীনে মোট আলো ৮৩ টি জাত রয়েছে। তার মধ্যে বারি আলো ৭৭ টি জাত রয়েছে। এই জাতগুলোর মধ্যে খাবার আলু রয়েছে। প্রক্রিয়াজাতকরণ উপযোগী আলু রপ্তানি যোগ্য আলু রোগ প্রতিরোধ যোগ্য আলু আছে। যে বীজের আলু গুলো ভালো ফলন দিতে সক্ষম। যা বাংলাদেশের সর্বত্র চাষ করা যায়।
আরো পড়ুনঃ উইন্ডোজ 11 টাস্কবারে আবহাওয়া উইজেট কীভাবে নিষ্ক্রিয় করবেন জানুন
বাংলাদেশে বর্তমানে শতকরা আশেভাগের বেশি জমিতে ডায়মন্ড অ্যারিস্টিক কার্ডিনাল গ্র্যানোলা জাতের আলুর চাষ করা হয়। ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, এ্যারিস্টিক,গ্র্যানোলা খাবার আলু। এই আলু ৮০-৯০ দিনের মধ্যে হয়ে থাকে এবং একর প্রতি দশ থেকে বারো টন ফলন হয়।
আলুর জন্য জমি নির্বাচন ও চাষ পদ্ধতি
বাংলাদেশে ফসল গবেষণা কেন্দ্র বি এ আর আই এর অধীনে মোট আলো ৮৩ টি জাত রয়েছে। তার মধ্যে বারি আলো ৭৭ টি জাত রয়েছে। এই জাতগুলোর মধ্যে খাবার আলু রয়েছে। প্রক্রিয়াজাতকরণ উপযোগী আলু রপ্তানি যোগ্য আলু রোগ প্রতিরোধে যোগ্য আলু আছে। বাংলাদেশে বর্তমানে শতকরা আশেভাগের বেশি জমিতে ডায়মন্ড অ্যারিস্টিক কার্ডিনাল গ্র্যানোলা জাতের আলুর চাষ করা হয়। ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, এ্যারিস্টিক,গ্র্যানোলা খাবার আলু। এই আলু ৮০-৯০ দিনের মধ্যে হয়ে থাকে এবং একর প্রতি দশ থেকে বারো টন ফলন হয়।
আলুর বীজ বপন কৌশল
আলু সাধারণত দুই-সারী পদ্ধতিতে বপন করা হয়। প্রথমত সারি বরাবর 5 থেকে 7 সেন্টিমিটার মাটি সরিয়ে নালা প্রস্তুত করা হয় তারপর সে নালাতে নির্দিষ্ট দূরত্বে বীজ বপন করে ঢেকে দেওয়া হয়। দ্বিতীয়ত, সারির মাটি না করে অর্থাৎ নালা না করে সারির দাগ বরাবর বীজ নির্দিষ্ট ব্যবধানে বপন করার পর দুই সারির মধ্যবর্তী জায়গা হতে মাটি টেনে উঁচু করে বীজ ঢেকে দেওয়া হয়।
আলু হেক্টর প্রতি দেড় থেকে ২ টন এবং ৬০০ থেকে ৮০০ কেজি আলুর বীজ প্রয়োজন পড়ে। আলুর উপরে দূরত্ব ২৫ থেকে ৬০ সেন্টিমিটার গোটা আলু এবং যদি আলু কাঁটা হয়ে থাকে তাহলে ১৫ থেকে ৪৫ সেন্টিমিটার মধ্যে থাকতে হবে।
আলুর জমিতে সেচ ও সার প্রয়োগের মাত্রা
আলুর জমিতে সব মিলিয়ে পাঁচ থেকে ছয়টি সেচ লেগে থাকে। আলু জমিতে সাধারণত নালির মাধ্যমে শেষ প্রদান করা হয়ে থাকে। কয়েকটা লালি মিলে এক একটা ভাগ করে সুন্দরভাবে পানি শেষ দিতে হয়। আলোর প্রথম শেষ লাগে আলো জমিতে রোপন করার ১ থেকে ২ দিন পর। দ্বিতীয় সেচ লাগে গাছ গাছের বীজ অঙ্কুরিত হওয়ার পরে। তৃতীয় শেষ লাগে আলোতে টপ দেয়ার পরে।
চতুর্থ পঞ্চম শেষ জমির মাটি শুকিয়ে যাওয়ার উপর নির্ভর করে শেষ প্রদান করতে হবে। জমিতে কয়েকটা কিস্তিতে সার প্রয়োগ করতে হয়। তার মধ্যে স্যার দিতে হয় আলুতে টপ দেয়ার সময়। এরপরে চতুর্থ পঞ্চম ও ষষ্ঠ শেষে জমির পরিমাণ অনুযায়ী ভাগ করে সার দিতে হবে। নিচে জমিতে কি পরিমান সার প্রয়োগ করতে হবে তার একটি তালিকা দেওয়া হলো।
আলু জমিতে আগাছা দমন ও কীটনাশক প্রয়োগ
বীজ ভবনের ৬০ দিন পর্যন্ত আলোর খেয়ে আগাছা মুক্ত রাখতে হয়। আলু জমিতে আকাশ এত আগাছা দমন ভালোভাবে প্রয়োজন পড়ে না গাছের গোড়ায় মাটি তুলে দেওয়া মাটি আলগা করে দেওয়ার সময় আগাছা দমন হয়ে যায়। আলুর জমিতে মাটির শোধন করার জন্য বা সমস্যা প্রতিরোধের জন্য প্রত্যেক শতক জমিতে ৮০ গ্রাম স্টেবল বিচিং পাউডার মিশে যোগ করতে হবে। যে সকল প্রকার আলোতে আক্রমণ করে সেগুলো হচ্ছে কাটই পোকা, সুতলি পোকা।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক রাজশাহী কলেজ সম্পর্কে জেনে নিন
আলুতে যে সকল রোগ বালাই দেখা যায় তার মধ্যে মড়ক বা ধোব্সা ,আগাম ধব্সা পচা আলুর দাত রোগ- পাতা কুকরানো আলু, মুজাইক রোগ, শুকনো পচা রোগ ইত্যাদি হয়ে থাকে।এ জন্য জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। আলুর জমিতে 5 থেকে 6 বার কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। আপনার আলোচ্যে যে যে সমস্যাগুলো হবে তা কীটনাশক এর দোকানে গেলে আপনাকে সেই অনুযায়ী তারা কীটনাশক প্রয়োগ করবে। ফলে আলুর গাছ ভালো থাকবে এবং আলুর ফলন বৃদ্ধি পাবে।
আলু সংরক্ষণ ও গুদামজাতকরণ
আলু সাধারণত কোলস্টরে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। সংরক্ষিত আলো যেহেতু সরাসরি খাবার আলো হিসাবে ব্যবহৃত হবে সেজন্য সংগ্রহের সময় কোন কীটনাশক প্রয়োগ করা যাবে না। গুদাম ঘরে অল্প জায়গায় অধিক পরিমাণে আলু রাখা যাবে না এতে অক্সিজেনের অভাব হবে। ফলে সংরক্ষিত আলো-কালো দাগ দেখা দিতে পারে আলোতে সূর্যের আলো পড়তে দেওয়া যাবে না।
আলুগুলো ২০ থেকে ২৫ দিন পর পর চেক করতে হবে আলুর অবস্থা কি রকম আছে। এভাবে আপনি কোলেস্টোরে আলু সংগ্রহ করতে পারেন যতদিন না আপনি আলো বিক্রি করছেন। সঠিকভাবে আলু সংরক্ষণ করলে আলু স্টোরে ভালো থাকে।
যেভাবে আলু বিক্রি করে লাভবান হবেন
আলু সাধারণত দুই পদ্ধতিতে বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। যখন জমি থেকে আলু সংগ্রহ করা হয় সেই সময়। আর দিতে তো হচ্ছে কোলেস্টরে বাহিমা ঘরে আলু সংগ্রহ করে আলুর দাম বৃদ্ধি পেলে বিক্রি করে। জমি থেকে আলো বিক্রি করলে সাধারণত লাভের পরিমাণটা কম থাকে কিন্তু রিক্সের পরিমাণটা কম থাকে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মোবাইল নম্বর ও ইমেইল জেনে নিন
আর হিমাগারে আলু সংগ্রহ করে আলো বিক্রি করলে ভালো লাভের পরিমাণটাও বেশি থাকে আবার রিক্সটাও অনেক বেশি থাকে। যদি আলুর বাজার ভালো থাকে তাহলে আপনি সংগ্রহ করে আলু বিক্রি করে অতি লাভবান হবেন।
আমাদের শেষ কথা
আপনি যদি উক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করে জমিতে আলু চাষ করতে পারেন তাইলে পারে আশা করা যায় আপনি লাভবান হবেন। আমরা আলু বীজ থেকে শুরু করে বিক্রি পর্যন্ত সমস্ত কিছু আলোচনা করেছি। আরো একটি জনপ্রিয় ফসল। যে ফসল আপনি চাষ করে অল্প সময়ে অধিক লাভবান হতে পারেন।কোন কিছু ভুল থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url